Showing 12 Result(s)

Why Facebook Ad Auditing is So Crucial

Facebook Ad auditing is not limited to analyzing metrics like cost-per-click or conversion rates. It’s all about involving a comprehensive review of your entire ad campaign, encompassing aspects such as target audience, ad design, ad copy, and even the landing pages you’re directing traffic to. On a few occasions, Digital marketers often become so engrossed in creating and launching ads that they must remember to step back and assess how well these ads are performing.

The advantages of conducting a thorough Facebook Ad audit are substantial. Let’s check out a few advantages.

Gain Clarity:

A well-executed audit brings clarity to your advertising efforts. Say goodbye to the uncertainty of whether a particular ad format or copy will yield results. You’ll understand what works and what doesn’t and grasp the underlying reasons specific strategies succeed while others fall short.

Save Time:

Consider the countless hours you’ve invested crafting ads that fail to resonate with your target audience. Through an audit, you ensure you only invest your time and resources in ads that genuinely deliver. This efficiency not only saves time but also maximizes your return on investment.

Empower Yourself:

Armed with the insights from your audit, you can take control of your ad strategy. You can make informed decisions, pivot when necessary, and confidently guide your ad campaigns confidently toward success.

So, next time when you feel lost in the vast realm of Facebook advertising, don’t simply try another ad. Instead, take a moment to audit your Facebook ads. Obviously, this process may surprise you.

From my experience working on ad campaigns for different advertisers, a thorough Facebook ad audit is a game-changer. It serves as a reliable compass, ensuring your ad strategy remains on course, regardless of where your digital journey takes you.

শর্ট ভিডিও বানানোর সহজ উপায়সমুহ!

২০২২ সালে শর্ট ভিডিও যেরকম রাজত্ত করেছে বলার অপেক্ষা রাখে না ২০২৩ সালেও শর্ট ভিডিওর জন্য অপেক্ষা করছে আরও একটি ভালো বছর। টিকটক শর্ট ভিডিওর যে পথ দেখিয়ে দিয়ছে সেই পথ অনুসরন করে বড় বড় টেক জায়ান্টগুলো তাদের প্লাটফর্মে শর্ট ভিডিওর ফিচার ইতমধ্যে সংযোজন  করে ফেলেছে। শর্ট ভিডিওর কেন এত চাহিদা? কেননা শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে এখন সম্ভব হচ্ছে বেশি মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানো।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফরমগুলোতে এখন বলতে গেলে অর্গানিক রিচ কমে গিয়েছে। শর্ট ভিডিও যেহেতু প্লাটফর্মগুলোর জন্য নতুন ফিচার তাই ভাল একটা পরিমানে অর্গানিক রিচ পাওয়া সম্ভব হচ্ছে এখনও। যাদের পেইড মিডিয়ার জন্য বাজেট একদম কম তাদের জন্য শর্ট ভিডিও হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। অনেক ছোট উদ্যোক্তার সাথে আমার কথা হয়েছে এবং হচ্ছে। তারা এখনও আসলে বুঝে উঠতে পারছে না তাদের ব্র্যান্ডের জন্য কি কি বিষয়ের উপর প্রাধান্য দিয়ে শর্ট ভিডিও তৈরি করবে। আজ শর্ট ভিডিও বানানোর জন্য কিছু কার্যকরী টিপস তুলে ধরার চেষ্টা করছি। চলুন দেখে নেই কোন কোন বিষয় গুলোকে কেন্দ্র করে বানাতে পারেন আপনার প্রডাক্ট বা সার্ভিসের জন্য শর্ট ভিডিও।

– আপনার প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস ব্যাবহারের আগের এবং পরের অবস্থা তুলে ধরতে পারেন শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে। কিভাবে আপানার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস অডিয়েন্সের চলমান সমস্যা দূর করছে তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারেন সহজে আপানর শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে।

– আপনার প্রডাক্ট এর গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলো নিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারুন শর্ট ভিডিও। সাথে ট্রেন্ডিং কোন মিউজিক জুড়িয়ে দিলে মন্দ হয় না কিন্তু।

– প্রোডাক্ট এর আনবক্সিং নিয়ে করে ফেলুন শর্ট ভিডিও। এই ভিডিও গুলোর কিন্তু অনেক চাহিদা আছে মার্কেটে।

– আপনি যেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন সেই ইন্ডাস্ট্রির আপডেট নিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন শর্ট ভিডিও।

–  আপনার প্রোডাক্ট ব্যাবহারের পদ্ধতি বা বিভিন্ন ধাপ উল্লেখ করে সহজে বানিয়ে ফেলুন শর্ট ভিডিও।

– ক্লায়েন্ট বা কাস্টমার থেকে পাওয়া পজিটিভ রিভিউ হতে পারে শর্ট ভিডিওর অন্যতম একটি টপিক। নতুন বা পুরাতন সকল কাস্টমারদের জন্য বিশ্বাস অর্জনের জন্য এই ভিডিওগুলি কিন্তু খুব কার্যকর।

– টিম মেম্বারদের নিয়ে তৈরি করা যেতে পারে শর্ট ভিডিও। শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন টিম মেম্বারদের। টিম মেম্বার এর সংখ্যা যদি বেশি বড় হয়ে থাকে তাহলে টিমের স্টার পারফর্মারদের নিয়ে তৈরি করা যেতে পারে শর্ট ভিডিও।

– আপনার হাতে যদি প্রোডাক্ট এর লং ভিডিও থেকে থাকে তাহলে সেখনা থেকে খুব সহজেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে শর্ট ভিডিও তৈরি করে ফেলা যায়। এই রকম শর্ট ভিডিও গুলো থেকে সাইটে ভিজিটর টানাটা সহজ হয়ে যায়।

– আপানর অডিয়েন্স এর বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ নিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারুন শর্ট ভিডিও।

– টিম মেম্বার সহ আপানি যেখানে অফিস করছেন সেখানের চিত্র ফুটিয়ে তুলা যেতে পারে শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে। এই ধরণের ভিডিও সম্পর্কটাকে দৃঢ় করতে সাহায্য করবে আপনার ক্লায়েন্ট এর সাথে।

– বিভিন্ন রকমের উৎসবকে কেন্দ্র করে তৈরি প্লাটফর্মগুলোর জন্য তৈরি হতে পারে শর্ট ভিডিও।

– বিভিন্ন রকমের টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স নিয়ে তৈরি করা যেতে পারে শর্ট ভিডিও।

– ইন্ডাস্ট্রির ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের মোটিভেশনাল ভিডিও বানানো যেতে পারে। ধরুন আপনি যদি ডিজিটাল মারকেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে থাকেন তাহলে উদ্যোক্তা দের জন্য মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করতে পারুন।

– যেই ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি থাকুন না কেন কিছু কমন প্রশ্নের সম্মুখীন আপনাকে হতে হয়। এইরকম কমন প্রশ্নের উত্তরগুলি নিয়ে তৈরি ক্রয়া যেতে পারে শর্ট ভিডিও।

শর্ট ভিডিও বলতে সাধারণত ১০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট দৈর্ঘের ভিডিওগুলি বুঝান হয়। কোন রকম সন্দেহ ছাড়া বলা যায় শর্ট ভিডিও হতে পারে আপানর ব্র্যান্ডকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার উপায়। শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি পারছেন আপানর ব্র্যান্ডকে একটিভ রাখতে অডিয়েন্স এর কাছে। উপরে কিছু আইডিয়া শেয়ার করলাম যেগুলো ব্যাবহার করতে পারলে কিছুটা হলেও আপনি উপকৃত হবেন।

লেখকঃ মোহাম্মদ ইমন খান (ডিজিটাল মার্কেটার)

ইন্সটাগ্রামের অর্গানিক রিচ বাড়ানোর গোপন কৌশল

গোটা বিশ্ব বর্তমানে এক অস্থির সময় পার করছে, যার প্রভাব পড়েছে সকল ক্ষেত্রে। অনেক বড় বড় এডভার্টাইজাররা তাদের এডভার্টাইজিং বাজেট কমাতে বাধ্য হয়েছে। অনেক জায়গায় বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে চলছে ছাঁটাই। ছোট ছোট বিজনেসের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। অর্থের অভাবে তারা সরে আসতে বাধ্য হয়েছে পেইড এডভার্টাইজিং থেকে,। অর্থনীতির এই দুরবস্থায় তাদের জন্য ভরসা হয়ে উঠতে পারে অর্গানিক রিচ। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো তাদের অর্গানিক রিচ কমিয়ে দিয়েছে বহুগুনে।

বাংলাদশের প্রেক্ষাপটে বহুল ব্যবহারিত দুটি প্লাটফর্ম, হচ্ছে ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম। অনেক ছোট ছোট বিজনেস সম্পূর্ণরুপে এই দুটি প্লাটফর্ম এর উপর নির্ভর করে দাড়িয়ে আছে। বর্তমান সময়ে অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞাপন এর জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা। এইসব ছোট ছোট বিজনেস গুলো যদি অর্গানিক রিচ এর কৌশলগুলো তাদের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে ভাল কিছুর প্রত্যাশায়। ব্যাপারটা এমন না যে আজকে এপ্লাই করলাম আর আগামীকাল থেকেই ফল আসা শুরু করবে। সময় এবং ধৈর্য দুইটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আজ ইন্সটাগ্রামের অর্গানিক রিচ বাড়ানোর কিছু গোপন কৌশল তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আসুন একনজরে দেখে নেই কৌশলগুলো।

কন্টেন্ট : অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফরমগুলোর মত ইন্সটাগ্রামের জন্যও ভালো কন্টেন্ট অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পর্যাপ্ত রিসার্চ করুন একটি কন্টেন্ট তৈরি করার আগে। আপনার অডিয়েন্স এর জন্য কি রকম কন্টেন্ট কার্যকরী রিসার্চ করে বের করুন। একটি ভাল কন্টেন্ট বহুগুনে আপনার অর্গানিক রিচ বাড়িয়ে দিবে।

ক্যাপশন : পোস্টের সাথে একটি সুন্দর ক্যাপশন যোগ করে দিতে পারলে অর্গানিক রিচ বেড়ে যাবার সম্ভাবনা বহুগুনে বেড়ে যায়। এমন ক্যাপশন দেয়ার চেষ্টা করুন যা কিনা আপনার কাঙ্খিত অডিয়েন্সকে সহজে আকর্ষিত করে।

ইন্সটাগ্রাম রিলসঃ বর্তমান সময়ে শর্টস ভিডিওর ব্যাপক চাহিদা মার্কেটে। অর্গানিক রিচ বাড়িয়ে নেয়ার জন্য ইন্সটাগ্রাম রিলস হতে পারে আপনার জন্য অন্যরকম  এক হাতিয়ার। আপনার ইন্ড্রাস্ট্রির ধরন অনুযায়ি রিলস তৈরি করে ফেলুন এবং অর্গানিক রিচটাকে এই সুযোগে বাড়িয়ে নিন।

ধারাবাহিকতাঃ ধারাবাহিকতা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্গানিক রিচ বাড়ানোর জন্য। ধুপধাপ দুই তিনটি পোস্ট করে দেখা যায় এরপরের পোস্টগুলোর মধ্যে লম্বা একটা বিরতি পরে যায় যা কিনা আপনাকে কোনভাবে অর্গানিক রিচ বাড়াতে সাহায্য করবে না। কন্টেন্ট ক্যালেন্ডার ব্যাবহার করতে পারেন যা কিনা আপনাকে নিয়মিত পোস্ট করতে সাহায্য করবে।

কল টুঁ অ্যাকশনঃ বিভিন্ন ধরনের কল টুঁ অ্যাকশন ব্যাবহার করুন আপনার পোস্টে যা কিনা আপনার অডিয়েন্সকে ওই পোস্টে অ্যাকশন নিতে প্রলুব্ধ করবে। বিভিন্ন রকমের  কল টুঁ অ্যাকশন বিদ্যমান আছে  ইন্সটাগ্রামে। আপনার পোস্টের ধরন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।

হ্যাশ-ট্যাগঃ হ্যাশ-ট্যাগ হতে পারে আপনার ইন্সটাগ্রামের অর্গানিক রিচ বাড়ানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। রিসার্চ করে বের করুন কোন হ্যাশ-ট্যাগটি হতে পারে আপানর পোস্ট এর জন্য সবচেয়ে বেসি কার্যকরী। বেশি পরিমাণে হ্যাশ-ট্যাগ ব্যাবহার করার থেকে পরিমাণে অল্প হলেও কার্যকরী হ্যাশ-ট্যাগ ব্যাবহার করার পক্ষে আমি।

বায়োঃ আপানর বিজনেস প্রোফাইল এর বায়ো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্টটি সম্পর্কে সংক্ষেপে ফুটিয়ে তুলুন। আপানর প্রোডাক্ট এর সাথে যায় এমন কিওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করুন বায়োতে যা কিনা অর্গানিক রিচ বাড়াতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে আপনি ইন্সটাগ্রামে খুব সহজে উপরে উল্লেখিত কৌশলগুলো প্রয়োগ করে বাড়িয়ে নিতে পারেন আপনার ইন্সটাগ্রামের অর্গানিক রিচ। এছাড়া যখনি কোন নতুন ফিচার যুক্ত হবে প্লাটফর্মে সেগুলো ব্যাবহারের চেষ্টা করুন কেননা নতুন ফিচারগুলোতে শুরুর দিকে অর্গানিক রিচ পাওয়া যায় বেশ ভালো পরিমাণে। ধন্যবাদ সবাইকে।

ফেসবুক মার্কেটিং টিপস- ১ম পর্ব

এক নজরে দেখে নেই ফেসবুকের কিছু মার্কেটিং টিপস যা কিনা আপনার বিজনেসকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

  • ক্যাম্পেইন বাজেট যদি বেশি হয়ে থাকে A/B টেস্টিং অপরিহার্য আপনার জন্য।
  • ফেসবুক মার্কেটিং শুরুর আগে ফেসবুকের বিভিন্ন পলিসিগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিন।
  • বিজনেস পেইজে বিপুল সংখ্যক লাইক থাকা মানে এই নয় যে আপনার সেল বহুগুনে বেড়ে যাবে।
  • ভালো রেসপন্স পেতে হলে টার্গেট অডিয়েন্স নিয়ে রিসার্চ করার বিকল্প নেই।
  • ভালো অর্গানিক রিচ পাবার জন্য ফেসবুক পেইজ এর পাশাপাশি বিজনেসের জন্য ফেসবুক গ্রুপ খুলতে ভুলবেন না একদমই।
  • শুধুমাত্র অর্গানিক রিচ এর উপর নির্ভর করে বেশিদূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব না। পেইড প্রমোশনটাকেও সাথে রাখুন ।
  • কনভার্সন রেট বাড়াতে শর্ট ভিডিও কিন্তু বেশ কার্যকরী।
  • আপনার বিজনেস পেইজের সাথে ইন্সটাগ্রাম একাউন্টটি যুক্ত করে ফেলুন।
  • প্রোডাক্ট ফোটোগ্রাফিতে মনোযোগ বাড়াতে হবে
  • বিজনেস পেইজে পোস্ট করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন I
  • পোস্ট এর ক্যাপশন যতটুকু পারা যায় ছোট রাখাই শ্রেয়।
  • ভালো অরগানিক রিচ পাবার জন্য ফেসবুক গ্রুপ কিন্তু বেশ কার্যকরী।
  • Facebook Ads Library ব্যবহার করে কম্পিটিটরদের এড এনালাইসিস করতে পারবেন খুব সহজেই।
  • ক্যাম্পেইন মনিটরিংটাও ঠিকভাবে চালিয়ে যেতে হবে কিন্তু ।
  • ক্যাম্পেইন সেটআপ করার পর লার্নিং স্টেজে (ফেসবুক এড ম্যানেজার) কোন কিছু আপডেট না করাই উত্তম।

ছোট ছোট এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে পারলে ফেসবুক হতে পারে আপনার জন্য হতে পারে জাদুর কাঠি।

ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেন্ডস এবং ২০২২

অনলাইনের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে যে বিজনেসগুলো অফলাইনে ছিল সেগুলোও অনলাইনের উপর তাদের আস্থা বেড়ে গিয়েছে। মোটকথা ডিজিটাল মার্কেটিং আমাদের জীবনের একটি বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। চলুন দেখে নেই ২০২২ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু ট্রেন্ডস।

  • সাম্প্রতিক সময় ফেসবুক নিয়ে ঘটনাবলীর জন্য চারিদিকে বলা শুরু হয়ে গিয়েছে ফেসবুকের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে। কিন্তু বাস্তব কথা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালেও রাজত্ত করতে যাচ্ছে ফেসবুক। অনেক বিজনেস সম্পূর্ণভাবে ফেসবুকের উপর নির্ভরশীল। ইতোমধ্যে ফেসবুক উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন নতুন ফিচার যোগ করেছে তাদের প্ল্যাটফর্মে। সামনের দিনগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলাই যায়। ইন্সটাগ্রাম ঘোষণা করেছে যে তাদের প্ল্যাটফর্ম এখন আর শুধু ফটো শেয়ারিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন ফিচার যোগ করতে যাচ্ছে তারা।
  • ২০২২ সালে শর্ট ফরম্যাট এর ভিডিও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্লাটফর্মে শর্ট ফরম্যাট এর ভিডিওর মাধ্যমে আপনি সহজেই পারছেন আপানর টার্গেট কাস্টমার এর কাছে পৌছাতে। একটি কথা মনে রাখবেন সম্প্রতি এক গবেষনায় দেখা গিয়েছে ভিডিও এডসের আপনার বিজনেসের কনভার্সন রেট বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুনে বেড়ে যায়।
  • আমাদের অনেকের ধারণা পেইড এডভাররটাইজিং করলে এসইও এর দরকার কি? যারা এরকম ভাবছেন তারা যে বোকার স্বর্গে বাস করছেন বলাই চলে। এসইও এর প্রয়োজনীয়তা কখনই শেষ হবে না। আপনার বিজনেস ওয়েবসাইটে একটি ভালো অবস্থান এনে দিতে পারে পেইড এডভাররটাইজিং এবং এসইও এর সম্মেলিত প্রয়োগ। ২০২২ সালেও আপনি এসইও কে পরিকল্পনার বাইরে রাখতে পারবেন না।
  • ইতোমধ্যে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। ২০২২ সালেও ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হতে যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র।
  • সোশ্যাল ম্যাসেজিং এপস যেমন ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটস্যাপ ইত্যাদি ব্যাবহার করে ২০২২ সালে আপনার বিজনেসের পরিধিটাকে আরও একটু বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ২০২২ সালে রাজত্ব করতে চলছে সোশ্যাল ম্যাসেজিং এপসগুলো।
  • লাইভ স্ট্রিমিং এর জনপ্রিয়তা ২০২২ সালে বাড়তে যাচ্ছে নিঃসন্দেহে বাড়তে যাচ্ছে। বিভিন রকমের নতুন ফিচার যোগ করবে প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের লাইভ স্ট্রিমিংএ এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
  • AR এবং VR হতে যাচ্ছে ২০২২ সালের বিভিন্ন ট্রেন্ডসগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফেসবুক ইতোমধ্যে তাদের স্মার্ট গ্লাসকে পরিচয় করে দিয়েছে।
  • অনলাইনে বিজনেস করছেন আর ইউজার প্রাইভেসি নিয়ে চিন্তা করবেন না তা কি করে হয়। ২০২২ সালে ইউজার প্রাইভেসি একটি বড় অংশ হতে যাচ্ছে। ইউজার যদি আপনার ওয়েবসাইটে সিকিউর ফিল না করে আপানর ওয়েবসাইটের রেঙ্কিং কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • ২০২২ সালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে স্টোরিজ সেকশনগুলো হতে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যারা অনলাইনে বিজনেস এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর উপর নির্ভরশীল তারা স্টোরিজ সেকশন ইউটিলাইজ করতে শিখুন।
  • ডেটার প্রয়োজনীয়তা কখনই ফুরাবার নয়। ২০২২ সালে রাজত্ব করতে চলেছে ডেটা। বিজনেস এর সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করবে ডেটার উপর ভবিষ্যতে।
  • মার্কেটিং এর নতুন নতুন অটোমেশন আমরা দেখতে যাচ্ছি ২০২২ সালে।
  • বিভিন্ন রকমের গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলো হতে চলেছে ২০২২ ট্রেন্ডসগুলোর মধ্যে অন্যতম।

আমরা এমন এক সময় বাস করছি যেখানে পরিবর্তন নিয়মত হচ্ছে। উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলোছাড়াও আরও বিভিন্ন রকমের ট্রেন্ডস আমরা দেখতে যাচ্ছি ২০২২ সালে।

প্রফেশনাল যোগাযোগের অত্যাবশ্যকীয় কিছু নিয়মাবলী

নিজের বাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে প্রফেশনাল যোগাযোগের অত্যাবশ্যকীয় কিছু নিয়মাবলী সংখিপ্ত আকারে এইখানে তুলে ধরার ছোট্ট একটুখানি চেষ্টা।

১) আপনার পরিধেয় পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অপরিচিত মানুষ প্রথমেই আপনার পোশাক দেখেই আপনার বিষয়ে তার মনে প্রাথমিক ধারণা অঙ্কন করে ফেলবে। এটিও ভুলে গেলে চলবে না আপনার পায়ের জুতো জোড়া একটি বড় ভুমিকা রাখে আপনাকে অন্যর কাছে নিজেকে প্রকাশ করার জন্য।

২) সবার সামনে পা তুলে বসাটা অনেকেই সহজভাবে নিতে পারে না। অনেকেই ভাবতে পারেন আপনি অহংকরী এবং সবার সাথে মেশার ক্ষমতা আপনার নেই।

৩) কারও সাথে ফেস টু ফেস কথা বলার যথাসম্ভব চেষ্টা করুন মোবাইল ফোনটি দূরে রাখার। যার সাথে কথা বলছেন তাকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করুন।

৪) ধন্যবাদ বলতে শিখুন। মনে রাখবেন ধন্যবাদ দিলে কেও কখনও ছোট হয় না।

৫) ব্যবসায়িক পরিচয়ের সময় অবশ্যই আপনার পুরো নামটি উল্লেখ করতে ভুলবেন না একদম। অন্য পক্ষ আপনাকে কিভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে, সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

৬) কেও আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় অবশ্যই দাড়িয়ে থাকুন। ওই সময় আপনি সেখানে না থাকলে অন্যরা আপানার সম্পর্কে খারাপ একটা ধারনা করবে।

৭) ইমেইল করার সময় অবশ্যই ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে যেন তা ভুল মানুষের কাছে না পৌঁছায়। দরকার হলে ইমেইল ঠিকানা ভালো করে চেক করে নিতে পারেন।

৮) কোনো কাজের সাফল্যে পাবার পর কাজটির সাথে জড়িত সবার অবদানকে স্বীকৃতি দিতে ভুলে যাওয়া চলবে না একদমি।

৯) প্রতিদিন আমরা এত পরিমাণে কাজ করে থাকি সেখানে ছোটখাটো ভুল হওয়া স্বাভাবিক। এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিলে অন্যের উপর দায় চাপানো থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয়। নিজের ভুল স্বীকার করতে শিখি আমরা। এটাও আমাদের মনে রাখতে হবে যেন একি রকমের ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে।

১০) কর্মক্ষেত্র ছাড়াও আমাদের সবারই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন আছে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা যেন আমাদের কাজের উপর কোনরকম খারাপ প্রভাব না ফেলে, সে ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকাটা জরুরি।

অগ্রিম ধন্যবাদ সবাইকে।

রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় নতুন সংযোজন: ক্লাউড কিচেন

সময়ের সাথে সাথে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। আমরা এখন ঘরে বসেই অর্ডার করে দিতে পারছি আমাদের পছন্দের খাবারটি বিভিন্ন অ্যাপের সাহায্যে। এখন অনেক রেষ্টুরেন্ট আছে যেখানে শুধু আছে রান্নাঘর এবং ষ্টোররুম। বসে খাওয়ার মত বেবস্থা এসব রেষ্টুরেন্ট এ করা হয় না। আবার প্রধান রাঁধুনি এবং তার সহযোগী ছাড়া রাখা হয় না অতিরিক্ত কোন স্টাফ। এসব রেস্টুরেন্ট মুলত অ্যাপের মাধ্যমে খাবারের অর্ডার গ্রহন করে থাকে এবং থার্ড পার্টি অথবা এদের নিজস্ব ডেলিভারি বেবস্থার মাধ্যমে অর্ডার করা খাবার সরবরাহ করে থাকে গ্রাহকের কাছে। সম্প্রতি সময়ে আমরা “ ক্লাউড কিচেন” শব্দটি অনেক বেশি শুনছি। উপরে আলোচিত রেস্টুরেন্ট এর ধরনেকেই বলা হয়ে থাকে “ ক্লাউড কিচেন”।

সহজ ভাবে যদি বলতে যাই “ ক্লাউড কিচেন” হল এমন এক রেষ্টুরেন্ট মডেল যেখানে খাবার এর অর্ডার গ্রহন করা হয় অনলাইনে (অ্যাপ অথবা অন্য কোন উপায়ে) এবং যেখানে বসে খাওয়ার মত বেবস্থা রাখা হয় না। আপনি যে রান্নাঘরে আপনার পরিবারের জন্য রান্না সেটিও হয়ে যেতে পারে আপনার আয়ের একটি উৎস। আপনার ধারেকাছের মানুষজন “ ক্লাউড কিচেন” এর কল্যাণে অর্ডার করতে পারে আপনার হাতের সুস্বাদু খাবার।

অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে “ ক্লাউড কিচেন” এর সুবিধাগুলো কি কি ? সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার ব্যাবসায়িক খরচ অনেকখানি কমে আসবে কেননা প্রধান রাঁধুনি এবং তার সহযোগী ছাড়া আপনার আর কোন অতিরিক্ত স্টাফ নিতে হচ্ছে না। আবার অনেকে সময় চাইলে নিজের রান্না ঘরেও শুরু করে দিতে পারেন “ ক্লাউড কিচেন” (লাইসেন্স বিষয়ক কিছু জটিলতা থাকে)। তাই এক কথায় বলা যায় অনেক সল্প পুঁজিতে চাইলে যে কেও শুরু করে দিতে পারে “ ক্লাউড কিচেন”। ক্লাউড কিচেনে আরো একটি বড় সুবিধা হচ্ছে, সম্পূর্ণ রেস্টুরেন্ট সাজানো এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ থেকে বেঁচে যাওয়া। তাই যারা ভাবছেন “ ক্লাউড কিচেন” শুরু করবেন তারা এখনি নেমে পরতে পারেন। নিচের বিষয়গুলো আমরা “ ক্লাউড কিচেন” শুরু করার পূর্বে বিবেচনায় রাখতে পারি।

যেহেতু “ ক্লাউড কিচেন” এক প্রকার রেস্টুরেন্ট ব্যবসা সেহেতু আপনাকে কয়েক রকমের লাইসেন্স নেয়া লাগতে পারে। যেমন ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, স্যানিটারি লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, কৃষি উপকরণ সনদ, বিএসটিআই সনদ ইত্যাদি। কি ধরনের খাবারের অর্ডার গ্রহণ করবেন এটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিদ্ধান্ত আপানার কি ধরনের খাবার আপনি প্রস্তুত করবেন। সেটি হতে পারে বাংলা খাবার (দুপুরের অথবা রাতের), চাইনিজ সেট মেনু, ইতালিয়ান ফুড ইত্যাদি।

“ ক্লাউড কিচেন” এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপানর রান্নাঘর এর স্থান। এরকম স্থান বেছে নিন যেটি আপনার টার্গেট এরিয়ার কাছাকাছি হয় যেন খুব সহজে আপানর অর্ডার করা খাবার সরবরাহ করতে পারেন গ্রাহক এর কাছে।

“ ক্লাউড কিচেন” এ যেহেতু অনলাইন এর মাধ্যমে খাবার অর্ডার গ্রহন করা হয় সেহেতু কোন অ্যাপের মাধ্যমে গ্রহন করবেন সেটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি ফুডপাণ্ডা অথবা নিজের তৈরি অ্যাপ অথবা ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমেও অর্ডার গ্রহণ করতে পারেন। তবে আমার বাক্তিগত অভিমত হচ্ছে শুরুর দিকে ফুডপাণ্ডা, পাঠাও, এদের উপর নির্ভর করাই ভালো। এক্ষেত্রে অবশ্য এদেরকে কিছু কমিশন আপনাকে দিতে হবে।

আপনার “ ক্লাউড কিচেন” এর ব্যবসা লাভজনক হবে কিনা সেটি অনেকাংশে নির্ভর করে আপানর নিবাচিত শেফ এর উপর। অবশ্যই এক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ শেফ আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। সাথে সাথে শেফ এর একজন সহযোগীও আপনাকে নিতে হবে যে কিনা প্রধান শেফকে সাহায্য করতে পারবে।

প্রাপ্ত অর্ডার সমুহ সময়মত গ্রাহকের কাছে প্রেরন করা অত্তাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন এর অর্ডার আরেকজনের কাছে ভুলক্রমে কোনভাবেই প্রেরন করা যাবে না। বেশি অর্ডার এর হিসাব সামলানোর ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে একদম শুরুর দিকে বাড়তি খরচ এড়িয়ে এক্সেলে হিসাব রাখতে পারেন।

মার্কেটিং – সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনার “ ক্লাউড কিচেন” এর জন্য। অবশ্যই আপানর ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এবং ইউটিউব এ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে যার মাধ্যমে আপনার কিচেন এর প্রচারনা করতে পারেন। এসব মাধ্যমে নিয়মিত আপানাকে পোস্ট অথবা ভিডিও আপলোড করতে হবে। পেইড মার্কেটিং এর জন্য একটি বাজেট আপনাকে বরাদ্দ রাখতে হবে। কেননা বর্তমান সময় সব মাধ্যমে অরগানিক রিচ একদম কমে গিয়েছে। এছাড়াও যত বেশি সংখ্যক ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন তাতে অনলাইনে আপনার উপস্থিতি বাড়বে।

আশা করি যাদের “ ক্লাউড কিচেন” নিইয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে তাদের এই লিখাটি কাজে দিবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি নির্বাচন নিয়ে আর নয় ঝামেলা!

প্রতিটি বিজনেস এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজের প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস এর মাধ্যমে বিজনেসকে আরও লাভজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। বর্তমান সময় ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ। বিজনেসকে লাভজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং (কিছু কিছু বিজনেস ছাড়া) এর কোন বিকল্প নেই। ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া বিজনেস নিয়ে বড় কিছু আশা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের দেশে বিজনেস এ ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন রকমের ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিসের প্রয়োজন পড়ছে আজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনের দিকে অগ্রসরের জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের আশেপাশে এত বেশি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি গড়ে উঠছে যে কারণে ভালো মানের ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি নির্বাচন করতে গিয়ে আমাদের রীতিমত ঘাম ছুটে যাচ্ছে। আশা করছি আমার এই লিখাটি আপনার বিজনেস এর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি  নির্বাচনের কাজ অনেকখানি সহজ করে দিবে। চলুন এক নজরে দেখে নেই কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি নির্বাচনের ক্ষেত্রে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই বিজনেসের গোল সম্পর্কে আপনার সার্বিক ধারণা থাকতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আপনি স্পেসিফিক ভাবে কি অর্জন করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে যদি অবহিত না থাকেন তাহলে আপনার পক্ষে এজেন্সি নির্বাচন করা দুঃসহ কাজ হয়ে যাবে। আপনি যদি অবহিত না থাকেন তাহলে এজেন্সিকে কিভাবে দায়িত্ব অর্পণ করবেন?

এমন এজেন্সি খুজে বের করুন যার কিনা আপনার ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে পূর্বে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। যেমন ধরুন আপনি এডুকেশন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কাজ করছেন। এমন এজেন্সি নির্বাচন করুন যাদের কিনা পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে এডুকেশন সেক্টর এ কাজ করার। যেহেতু তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে তারা সহজেই আপানর বিজনেস এর পেইন পয়েন্টগুলো ধরতে পারবে এবং সমাধানও বের করে ফেলতে পারবে যা কিনা বিজনেসকে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে।

এই প্রবাদটি আমরা সবাই জানি “ সস্তার তিন অবস্থা”। ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা যদি কোয়ালিটি থেকে সস্তা জিনিসকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি তাহলে বিজনেসের বারোটা বাজতে বেশি সময় লাগবে না। ধরুন আপানর কাছে তিনটি এজেন্সির প্রপোজাল জমা পড়লো। হাই লেভেল ক্রিয়েটিভ এর একটি কাজের জন্য এজেন্সি ক চার্জ করল ৪০ হাজার টাকা, এজেন্সি খ ৪৫ হাজার টাকা এবং এজেন্সি গ চার্জ করল ১৫ হাজার। আপানর অবচেতন মন কিন্তু এজেন্সি গ এর দিকে যেতে চাইবে কেননা তারা কম চার্জ করেছে। কিন্তু আপনি যাচাই করে দেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেন না যে আসলেই তারা কিভাবে পারবে একই কাজ এত কমে করে দিতে। তাদের সাথে কাজ শুরু করার পর বুঝবেন কি ভুলটাই না আপনি করেছেন যখন কাজের কোয়ালিটি আপনার মন মত হবে না অথবা সময়মত ডেলিভেরি দিতে পারবে না ।

বিভিন্ন এজেন্সির পোর্টফলিও এনালাইসিস করতে টাইম ইনভেস্ট করুন। একটি এজেন্সি কত লম্বা সময় ধরে তার ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দিচ্ছে এই বিষয়টা জানা খুব জরুরি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে। একটি ভালো এজেন্সির সার্থকতা সেখানেই যখন ওই এজেন্সির ক্লায়েন্ট ধরে রাখার রেট বেশি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছানোর আগে এই বিষয় গুলো একটু ভাল্ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির সাথে মিটিঙে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে যান। তাদের ওয়েবসাইট, পোর্টফলিও আর যা কিছু আছে সবকিছু এনালাইসিস করে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন তৈরি করে নিয়ে যান। তাদের কাজের ধরন  সম্পর্কে জানতে চান। কি রকম সময় নিয়ে তারা কাজ ডেলিভেরি করে থাকে তা বুঝে নিন যাতে ভবিষ্যতে কোন সমস্যায় না পড়তে হয়।

কিছু কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি আছে যারা অবাস্তব প্রমিস করে থাকে তাদের ক্লায়েন্ট এর কাছে কাজটি পাবার জন্য। যেমন ধরুন এজেন্সি ক কোন রকম মার্কেট এনালাইসিস ছাড়াই তার ক্লায়েন্টকে প্রমিস করল তার সেল ১০০ গুণ বাড়িয়ে দিবে এজেন্সির সার্ভিস এর মাধ্যমে। যখনি কোন এজেন্সি অবাস্তব প্রমিস করবে বুঝে নিতে হবে কোন সমসা আছে সেখানে। এসব এজেন্সি কে তালিকা থেকে বাদ দেয়াটাই শ্রেয়।

সোশ্যাল প্রুফ চেক করে নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি নির্বাচনের ক্ষেত্রে। মার্কেটে তাদের গ্রহনযোগ্যতা কেমন যাচাই করতে ভুলে গেলে চলবে না কিন্তু। আপনার নির্বাচিত এজেন্সির সার্ভিস নিয়ে বর্তমান ক্লায়েন্ট এর মনোভাব কেমন সেটিও দেখে নিতে হবে। সবকিছু বিবেচনায় এনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ডেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা কি না আপানকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে খুবই উপকার করে। যেসব ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি আপানকে রিয়েল টাইম ডাটাতে এক্সেস দিতে গড়িমসি করে তাদের সাথে কোন রকম চুক্তিতে না যাওয়াই ভালো।

একটি ভালো এজেন্সি কখনই লম্বা সময়ের জন্য চুক্তি করার জন্য আপানকে প্রেসার দিবে না। চুক্তি কতদিনের হবে তার সময়সীমা ক্লায়েন্ট এর উপর ছেড়ে দেয় পরীক্ষিত এজেন্সিগুলো। এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি নির্বাচনের ক্ষেত্রে।

উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো  লক্ষ্য রেখে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি নির্বাচন করার পর তাড়াহুড়ো করা যাবে না ফল পাবার জন্য। আপানর বিজনেসকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এজেন্সিকে পর্যাপ্ত সময় এবং পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

ব্র্যান্ড গড়ার মূলমন্ত্র!

একটি ব্র্যান্ডকে একেবারে শূন্য থেকে প্রতিষ্ঠা করাতে গেলে 4C এর কথা ভুলে গেলে চলবে না (ভিন্ন মত থাকতেই পারে)। আসুন একটু চোখ বুলিয়ে নেই 4C গুলোর দিকে।

Customer: যেকোন বিজনেসের নিউক্লিয়াস হচ্ছে Customer। Customer নেইতো আপনার বিজনেসও নেই। Customer কে নিয়ে রিসার্চ করুন। আপনার বিজনেস এর গ্যাপগুলো খুজে বের করুন যাতে Customer আপনাকে ছেড়ে না যেতে পারে। অবশ্যই সম্ভব হলে আপনার Customer এর জন্য একটু বেশি কিছু করার চেষ্টা করুন। ভুলে গেলে চলবে না আপনার বর্তমান Customer ভবিষ্যতে আপানকে নতুন আরও Customer এনে দিবে এবং আপনার ব্র্যান্ডটিকেও প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

Commitment: লম্বা সময়ের জন্য বিজনেস করতে গেলে অবশ্যই আপানকে Commitment এর কথা ভুলে গেলে চলবে না। আপানর Customer/Client এর সাথে করা Commitment একদম ভুলে গেলে চলবে না। এটা নিশ্চিত থাকুন আপনি যদি Commitment রক্ষা করতে না পারুন আপনার ব্র্যান্ডও সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যাবে। প্রায় দেখা যায় অনেক এজেন্সী আছে যারা ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে কাজ পাবার আগে সারাদিন তাদের পিছনে ঘুরতে থাকে, কিন্তু একবার কাজটি পেয়ে গেলে তখন উল্টা চিত্র দেখা যায়। তখন দেখা যায় ক্লায়েন্ট তাদের পিছে ঘুরতে থাকে কাজটি আদায় করে নেয়ার জন্য। ক্যাম্পেইন শুরুর আগের দিন পর্যন্ত ক্লায়েন্টকে অস্থিরতার মধ্যে কাটাতে হয়। অথচ কাজটি পাবার আগে এজেন্সী কত রকমের যে কমিট্মেন্ট করে।

Consistency: আপনার ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য Consistency আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। Consistency না থাকলে আপনার ব্র্যান্ডেরও হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যেমন ধরুন আপনার ব্র্যান্ড এর ফেসবুক পেইজ এবং ইউটিউব এর কথা। এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আপনি মন চাইলে অনেকদিন পর পর কনটেন্ট পাবলিশ করছেন আবার দেখা যায় অনেকে কনটেন্ট পাবলিশ করাই বন্ধ করে দেন। বলাই যায় আপনি Consistency ধরে রাখতে পারছেন না এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে। এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে আপনার ব্র্যান্ডও ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকবে।

Communication: আপনার ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে Communication এর কোন বিকল্প নেই। আপনি যদি আপানর ব্র্যান্ডের Communication মেনটেইন করতে পারেন তাহলে বলা যায় আপনার ব্র্যান্ডটিকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এতটুকু হলফ করে বলা যায় আপনি যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী Communication ( সেটি হতে পারে আপনার Client, Logical Support Team, Employee ইত্যাদি) করতে পারেন অনেক বড় বড় সমস্যা সহজে সমাধান করতে পারবেন।

ভুলে গেলে চলবে না যে একটি ব্র্যান্ড রাতারতি গড়ে উঠে না। অনেক পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্র্যান্ডকে গড়ে তুলতে হয়। এই 4C ছাড়াও আরও অনেক বিষয় নিয়ে আপানকে কাজ করতে হবে একটি ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

ডিজিটাল মার্কেটিং : অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্কর

কিছুদিন আগে খুব কাছের এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জানতে পারলাম কিছুদিন আগেই সে নতুন বিজনেস শুরু করেছে। যেহেতু বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ বড় ভাইও ফেসবুকে নিজের বিজনেসের জন্য একটি পেজ খুলে ফেলেছে। আর নিজের কাছে ডূয়াল কারেন্সির কার্ড থাকার সুবাধে নিজের পেজের পেইড এডভারটাইজিংটা নিজেই চালাচ্ছিল। বিভিন্ন কথার মাধ্যমে জানতে পারলাম ইতোমধ্যে সে ফেসবুক এডভারটাইজিং এর পিছনে অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছে। পেইজ শুরুর সময় কোনভাবে সে জানতে পেরেছে পেইজে যত বেশি লাইক থাকবে তার প্রোডাক্ট এর বিক্রির সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে। যেহেতু তার নিজস্ব দুয়াল কারেন্সির কার্ড আছে তাই সে বিন্দুমাত্র দেরি করে নি। সাথে সাথে লাইক আনার মিশনে নেমে পড়েছে। যেহেতু বিক্রি বেড়ে যাবে সেই উত্তেজনায় সে ৫০ হাজার এর উপর লাইক নিয়ে আসলো পেইজে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম এড চালানোর সময় কি অডিয়েন্স সেট করেছিলেন। আমি তার উত্তর শুনে রীতিমত হতভম্ব। সে কোন অডিয়েন্স নির্বাচন না করেই ইচ্ছেমত পেইজে লাইক নিয়ে এসেছে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে প্রোডাক্ট এর যারা প্রকৃত অডিয়েন্স এর মধ্যে পড়ে না তাদের সংখ্যাই বেশি। দিন শেষে ফলাফল শূন্য।

আবার যখন পোস্ট প্রমোট করছে তখন রিচ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু কোন রেসপন্স আসছে না। তার কথা শুনেই আমার একটা খটকা লাগলো। ফেসবুক ক্যাম্পেইন এর অবজেক্টিভ নির্বাচনে কোথাও না কোথাও ভুল হয়েছে। সাথে ল্যাপটপ থাকায় আমি তার রানিং ক্যাম্পেইনগুলো দেখতে চাইলাম। যা ভেবেছিলাম তাই। তার দরকার সেল, অথচ সে নির্বাচন করে রেখেছে “রিচ” অবজেক্টিভ। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম রিচ অবজেক্টিভ নির্বাচন করার পিছনে কারণ কি? সে আমাকে যে লজিক শুনাল তা শুনে আমি হাসব না কাদবো বুঝে উঠতে পারলাম না। তার ধারণা তার এডটি যত বেশি রিচ করবে তার প্রোডাক্ট সেল হবার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে। দিন শেষে ফলাফল একদম শূন্যর কোঁটায়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কোন ধারণা না রেখেই আমার কাছের বড় ভাইটি নেমে পরেছিল তার বিজনেস বড় করার মিশনে। ডিজিটাল মার্কেটিং সহজ কোন বিষয় না। আসলাম দেখলাম আর জয় করে ফেললাম এত সহজ হলে সবাই আজ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে যেত।

একটি জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিৎ “অল্পবিদ্যা সবসময় ভয়ঙ্কর”, কখনও ভালো কিছু ডেকে আনতে পারে না।